ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় ভিকটিমকে হাসপাতালে হামলা, আটক-১, ভাংচুর

%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a6%9f%e0%a6%9fপেকুয়া প্রতিনিধি :::

পেকুয়ায় হাসপাতালে ভর্তি ভিকটিমকে ফের হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ওই ঘটনায় পুলিশ হামলাকারীকে আটক করে। ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে হামলাকারীরা ভিকটিমের বসতবাড়িতে হানা দেয়। এ সময় ওই দুর্বৃত্তরা ব্যাপক লুটতরাজসহ বাড়ি ভাংচুর করে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বুধবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। হামলার শিকার ভিকটিমের নাম মাছুমা খাতুন (৭০)। তিনি উপজেলা বারবাকিয়া ইউনিয়নের আন্নর আলী মাতবরপাড়া এলাকার আহমদ হোসাইনের স্ত্রী। পেকুয়া থানা পুলিশ ওইদিন সকালে একই এলাকার মৃত.আবুল হোসেনের ছেলে আবুল কালাম প্রকাশ বান্ডাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর নিকট থেকে আটক করে। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে বসত ভিটার সীমানা নিয়ে মাছুমা খাতুনের সাথে তার ভাতিজা আবুল কালাম প্রকাশ বান্ডার মধ্যে বিরোধ রয়েছে। এনিয়ে (২৭ সেপ্টম্বর) মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বৃদ্ধা মাছুমার বাড়িতে স্থানীয় সমাজপতি ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে শালিসি বৈঠক চলছিল। পরিমাপ করে জায়গার সীমানা নির্ধারন করা হয়। আবুল কালাম অধিক জায়গা ভোগ করায় পরিমাপে তার কাছ থেকে জায়গা ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে আবুল কালাম, তার ভাই মো.শরীফ ও ছেলে শাহরিয়ার আলম রায়হানসহ ৪-৫জনের দুর্বৃত্তরা বিচারকদের সামনে অতর্কিত হামলা চালিয়ে মাছুমা খাতুনকে গুরুতর আহত করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পেকুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। মাছুমা খাতুনের ছেলে আজিজ মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম জানায় পরিমাপে তাদের কাছ থেকে আরো জায়গা আমরা প্রাপ্য আছি। বৈঠকে শালিসকারদের সামনে আমার বৃদ্ধা মাকে নির্দয় পিটিয়ে আহত করে। মাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। থানায় লিখিত এজাহার দিয়েছি। এ খবর জানার পর আবুল কালামসহ দুর্বৃত্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে হাসপাতালে এসে ফের মারধর করে। আমি চট্টগ্রামে থাকি। মা একা থাকে বাড়িতে। এ ঘটনায় হামলাকারীকে পুলিশ আটক করে। মামলা হয়েছে। আটকের পর অপর আসামিরা ফের বাড়িতে ভাংচুরসহ তান্ড চালায়। পেকুয়া থানার অফিসার ইনর্চাজ জিয়া মো.মোস্তাফিজ ভুঁইয়া জানায় এ বিষয়ে থানায় আবুল কালাম, মো.শরীফ ও শাহরিয়ার আলম রায়হানকে আসামি করে একটি মামলা রুজু হয়েছে। মামলা নং-১৬/১৬। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ।

পাঠকের মতামত: